Loan: টাকার প্রয়োজন কার না নেই। কোনও নির্দিষ্ট প্রয়োজন স্বার্থে হঠাৎ করে টাকার প্রয়োজন হতেই পারে। আর সেই রকম পরিস্থিতিতে মূলত লোনের ওপরে নির্ভরশীল হন আমজনতা। যে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেই ব্যাংক থেকেই লোন নেওয়া হয়। আবার অনেকেই আছেন যারা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নেন।
গত কয়েক বছরে ভারতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী সংখ্যা বেড়েছে। একাধিক সুবিধা থাকায় ক্রেডিট কার্ডের ওপর ভরসা করেন অনেকেই। কিন্তু ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনটি বেশি লাভজনক, ব্যক্তিগত লোন নাকি ক্রেডিট কার্ডের লোন? বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনেই। আসলেই দুই ধরনের লোনের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোনটি বেশি লাভজনক এবং কেন।
১) ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন গ্রহণ
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন গ্রহণ করলে লোন পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। একে বলা হয় ‘গ্রেস পিরিয়ড’। এর ফলে বাড়তি সুবিধা পান গ্রাহক। কি রকম? গ্রেস পিরিয়ডের মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের লোন পরিশোধ করতে পারলে সুদ ছাড়াই গ্রাহককে লোন মেটানোর সুযোগ দেওয়া হয়। এই সুবিধাটি ব্যক্তিগত লোনের ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। ক্রেডিট কার্ডের লোন গ্রহণের অপর অসুবিধাটি হল কোন নির্দিষ্ট ব্যাংকের গ্রাহক না হলেও ক্রেডিট কার্ড ঋণ নেওয়া যায়।
অপর একটি বিষয় যা গ্রাহককে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী করে তোলে তা হল বারবার র লোন পাওয়ার সুবিধা। একজন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী একই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বারবার লোন নিতে পারেন। অর্থাৎ, একবার ঋণ পরিশোধের পর সেই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ফের লোন নেওয়া যায়। এর পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড লোনের ক্ষেত্রে প্রচুর নথি জমা করার প্রয়োজন পড়ে না। ডকুমেন্টগত জটিলতা ছাড়াই আবেদনকারীকে সহজে ঋণ দেওয়া হয়।
২) ব্যক্তিগত লোন গ্রহণ
পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে প্রতিবার আবেদনকারী -র ক্রেডিট স্কোর পরীক্ষা করে ব্যাঙ্ক। যদি গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর ভালো না থাকে তাহলে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। গ্রাহক বারবার লোন নিলে তার ক্রেডিট স্কোরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে ফের লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। যদি গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর ভালো থাকে তাহলে কম সুদের হারে লোন নিতে পারবেন তিনি। ব্যক্তিগত লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকে গিয়ে আবেদনকারীকে বিভিন্ন নথি জমা করতে হয়। আবেদনকারীকে অবশ্যই তার আয়ের উৎস জানাতে হবে। সমস্ত রকম ডকুমেন্ট পরীক্ষা করে বিবেচনা করে তবে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাংক। ফলে গোটা প্রক্রিয়াটি সময় সাপেক্ষ।
এছাড়া, ব্যক্তিগত লোন তখনই পাওয়া যায় যখন গ্রাহকের নির্দিষ্ট ব্যাংকে সেভিংস অথবা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজস্ব কিছু নিয়ম থাকে। একবার ঋণ পরিশোধের পর আবার গ্রাহক আবার ঋণ নিতে চাইলে তাঁকে নতুন করে আবেদন করতে হবে। পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে ‘গ্রেস পিরিয়ড’ বলে আলাদা করে কোন সুবিধা থাকে না। ব্যক্তিগত ঋণ নিলে, টাকা হাতে পাওয়ার পরের মাস থেকে সুদ-সহ গ্রাহককে EMI দিতে হয়।
আরও পড়ুন » Instant Personal Loan – এবার আধার কার্ড থাকলেই মাত্র 5 মিনিটে পেয়ে যাবেন লোন! জানুন কীভাবে
ব্যক্তিগত লোন না ক্রেডিট কার্ডের লোন কোনটা বেশি লাভজনক?
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে, হঠাৎ করে লোনের প্রয়োজন পড়লে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন নেওয়া তুলনামূলকভাবে লাভজনক। কারণ গ্রেস পিরিয়ডের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে পারলে বিনা সুদে টাকা মিটিয়ে দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। তবে যদি বেশি টাকার লোনের প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগত লোন নেওয়াটাই ভালো, বলে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।